খলিসাকোটা হাই স্কুলের ইতিহাস
ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
খলিসাকোটা হাই স্কুলটি তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জিলার অন্তরগত বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মাদারকাঠী গ্রামে
অবস্থিত। তখনকার সময় খলিসাকোটার নাম ছিল ‘ নিম্ন নবদ্বীপ’। এই নিম্ন নবদ্বীপে (খলিসাকোটায়)
১৯১৭ সালের ২ ফেব্রুয়িারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল “খলিসাকোটা হাই স্কুলটি”। স্কুলটি প্রতিষ্ঠা
করেছিলেন তৎকালীনে তালুকদার মাদারকাঠী নিবাসী শ্রি কালি কান্ত সেন। স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত
হওয়ার পূর্বে খলিসাকোটার এই স্থানে ছিল একটি মাইনর স্কুল, একটি ডাক্তারখানা ও একটি
পোস্ট অফিস।
১৯২০ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় খলিসাকোটা হাই স্কুলটিকে ‘ উচ্চ ইংরেজী স্কুল’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং স্কুলটির শিক্ষার মান ও উন্নয়ন কাঙ্খিত পযায়ে উন্নীত হওয়ায় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪৫ সালে স্কুলটিকে স্থায়ী স্বীকৃতি প্রদান করে।
তখনকার সময় খলিসাকোটা ছিল শিক্ষা, সংস্কৃতি
ও রাজনীতির আবাসভূমি। অবিভক্ত ভারতের শিক্ষা বিস্তারের একটি প্রসিদ্ধ স্থান। পূর্ব
বাংলায় তখন মাত্র ২টি সাংস্কৃতিক কলেজ ছিল। ইহার একটি ছিল খলিসাকোটায় প্রভাতীয়া সরকারী
প্রাখমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এবং অপরটি ছিল গেীরনদিতে।
২৪/০২/১৯২৭ ইং তারিখের দলিল হতে জানা যায় যে, এই স্কুলটিতে ৭(সাত) ব্যক্তি জমি দান
করেছিলেন। ব্যক্তিবগ উল্লেখ করা হলো:
·
শ্রী জানেন্দ্র দাস
গুপ্ত (মাদারকাঠী)
·
শ্রী অনন্ত কুমার
সেনগুপ্ত (মাদারকাঠী)
·
শ্রী কান্ত কুমার
সেনগুপ্ত (মাদারকাঠী)
·
শ্রী নলিনী ভূষন সেনগুপ্ত
(মাদারকাঠী)
·
শ্রী কেশব চন্দ্র
সেনগুপ্ত (খলিসাকোটা)
·
শ্রী দেবেন্দ্রে নাথ
রায় (খলিসাকোটা)
·
শ্রী গোপার চন্দ্র
বিশ্বাস ( সোনাহার)
উল্লেখিত ব্যক্তির
দানকৃত জমির পরিমান ৪.৩২ একর। স্কুলটি ছিল পূর্ব মুখী। এর সামনে একটি লোহার পুল ছিল।স্কুলটি
ছিল ইংরেজী M অক্ষরের মত। দক্ষিন পাশ্বের ঘরটি ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়,